নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : কাগজের ঠোঙা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে হুগলির বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বসবাসকারী প্রায় ২৩০ টি পরিবার। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখার বেগমপুর রেলস্টেশন লাগোয়া রক্ষাকালীতলা, উত্তরাদান,পানপাড়া, সহ বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে আট থেকে আশি সকলেই কাগজের ঠোঙা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিভিন্ন সাইজের কাগজ কাটিং করে তাতে আঠা দিয়ে তৈরি হয় কাগজের ঠোঙা। কোলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন শহরতলি বাজারে বিক্রি হয় বেগমপুরের ঠোঙা। বর্তমানে লকডাউনের জেরে বন্ধ কোলকাতার পাইকারি আড়ৎ থেকে খুচরো দোকান। চলছে না ট্রেন ও সড়কপথে গাড়ি চলাচল। ফলে তৈরি ঠোঙা পড়ে রয়েছে বিভিন্ন কারিগরদের বাড়ি থেকে মহাজনদের গুদামঘরে। বন্ধ রয়েছে মহাজনদের পেপার কাটিং মেশিন। তৈরি ঠোঙা বিক্রির অভাবে নতুন করে মহাজনরা কারিগরদের কাগজ দিতে পারছে না ঠোঙা তৈরির জন্য। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে ঠোঙা তৈরির কারিগররা। সারাদিনে দুই বান্ডিল ঠোঙা তৈরি করে ৫০- ৬০/-টাকা মজুরি মেলে। বছরের অনান্য দিনে সারাদিন ঠোঙা তৈরিতে ব্যাস্ততা থাকে তুঙ্গে। এইসময় কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে কারিগরেরা। ঠোঙা তৈরি করলে তবেই পেটে পড়ে ভাত। মেলেনি সরকারি ত্রাণ। কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বেগমপুরের ঠোঙা তৈরির শিল্পীরা। বাস্তব সমস্যা যে রয়েছে তা কার্যত স্বীকার করেছেন বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।