লকডাউনের জেরে বিপন্ন হুগলীর বেগমপুরের কাগজের ঠোঙা তৈরীর কারিগররা

8th May 2020 হুগলী
লকডাউনের জেরে বিপন্ন হুগলীর বেগমপুরের কাগজের ঠোঙা তৈরীর কারিগররা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : কাগজের ঠোঙা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে হুগলির বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বসবাসকারী প্রায় ২৩০ টি পরিবার। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখার বেগমপুর রেলস্টেশন লাগোয়া রক্ষাকালীতলা, উত্তরাদান,পানপাড়া, সহ বিস্তীর্ন এলাকা জুড়ে আট থেকে আশি সকলেই কাগজের ঠোঙা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিভিন্ন সাইজের কাগজ কাটিং করে তাতে আঠা দিয়ে তৈরি হয় কাগজের ঠোঙা। কোলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন শহরতলি বাজারে বিক্রি হয় বেগমপুরের ঠোঙা। বর্তমানে লকডাউনের জেরে বন্ধ কোলকাতার পাইকারি আড়ৎ থেকে খুচরো দোকান। চলছে না ট্রেন ও সড়কপথে গাড়ি চলাচল। ফলে তৈরি ঠোঙা পড়ে রয়েছে বিভিন্ন কারিগরদের বাড়ি থেকে মহাজনদের গুদামঘরে। বন্ধ রয়েছে মহাজনদের পেপার কাটিং মেশিন। তৈরি ঠোঙা বিক্রির অভাবে নতুন করে মহাজনরা কারিগরদের কাগজ দিতে পারছে না ঠোঙা তৈরির জন্য। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে ঠোঙা তৈরির কারিগররা। সারাদিনে দুই বান্ডিল ঠোঙা তৈরি করে ৫০- ৬০/-টাকা মজুরি মেলে। বছরের অনান্য দিনে সারাদিন ঠোঙা তৈরিতে ব্যাস্ততা থাকে তুঙ্গে। এইসময় কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে কারিগরেরা। ঠোঙা তৈরি করলে তবেই পেটে পড়ে ভাত। মেলেনি সরকারি ত্রাণ। কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বেগমপুরের ঠোঙা তৈরির শিল্পীরা। বাস্তব সমস্যা যে রয়েছে তা কার্যত স্বীকার করেছেন বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।